ডায়বেটিস। কথাটা শুনলেই এক সঙ্গে বিরক্তি, ভয় মিশ্রিত অনুভূতি হয়। এক বার ধরলে তো আর উপায় নেই। সারা জীবনের জন্য খাওয়া দাওয়া নিয়মে বাঁধা। একটু বেগতিক হলেই বড়সড় সমস্যাও হয়ে যেতে পারে। জানেন কি কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়বেটিস? যারা টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত তাঁরা রোজকার ডায়েটে রাখুন এই সব খাবার। আর যাদের ডায়বেটিস নেই তারাও কিন্তু এগুলো খেয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারেন।
১। সাইট্রাস ফল- লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে প্রচুর ভিটমিন সি থাকে। রোজ আঙুর, কমলা, লেবু জাতীয় ফল খেলে তা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে টাইপ-টু ডায়বেটিস বশে থাকবে।
২। স্যালমন- এই মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। স্যালমন মাছ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩। সবুজ শাক সবজি- টাইপ টু ডায়বেটিস থাকলে নিয়মিত ডায়েটে অবশ্যই প্রচুর সবুজ শাকসবজি রাখুন। পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটুস, ব্রকোলি জাতীয় খাবার খেলে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যায়।
৪। ওটমিল- টাইপ-টু ডায়বেটিস থাকলে আপনার আদর্শ ব্রেকফাস্ট হতে পারে ওটমিল। ওটের মধ্যে থাকে বিটা-গ্লুকান ফাইবার। এই ফাইবার সারা দিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
৫। বাদাম- গবেষকরা জানাচ্ছেন যারা নিয়মিত বাদাম খান তাদের ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা ২১ শতাংশ কমে যায়। বাদামের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে অ্যান আউন্স আ ডে কিপস ডায়বেটিস অ্যাওয়ে। প্রতি দিন আখরোট, আমন্ড বা কাজু খেলে টাইপ টু ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
Monday, March 28, 2016
জন্মের আগেই হচ্ছে শিশুর নকশা!
মানুষের ভ্রূণে জিনগত পরিবর্তনে কাজ শুরু করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। প্রথমবারের মতো তাঁরা মানুষের ভ্রূণে জিনগত একটি পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। রক্তের সমস্যার জন্য দায়ী একটি জিন ভ্রূণ থেকে সরিয়ে ফেলতে বিতর্কিত একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তাঁরা।
এ শতকের বায়োটেকনোলজির সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হবে জন্মের আগেই ঠিকঠাক করে রাখা বা নকশা করে রাখা শিশু ও সম্পাদনা করা মানুষের জন্মের ঘটনা। নকশাকৃত এ ধরনের শিশু হবে দারুণ চটপটে, রোগমুক্ত, শারীরিকভাবে দক্ষ। এই শিশু যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির শিশুদের মতো হবে, তা না বললেও চলছে। মানুষের জন্মের সময় জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে নিখুঁতভাবে তাকে তৈরি করার কাজ কি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে? প্রযুক্তি ও ব্যবসা বিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডারে উঠে এসেছে সেই তথ্য।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা বলছেন, নকশা করা শিশু তৈরি সম্ভব। কিন্তু এখনো মানব ভ্রূণ সম্পাদনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি শতভাগ নিখুঁত নয়। কিন্তু উন্নয়নের প্রক্রিয়া থেমে নেই। ইঁদুর ও বানর নিয়ে গবেষণা করে সফলতা এসেছে। আগামী এক থেকে দুই দশকের মধ্যেই রোগমুক্ত বা সম্পাদনা করা শিশু আমরা দেখতে পাব
নৈতিক বিতর্ক
চীনা বিজ্ঞানীদের মানব ভ্রূণ নিয়ে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা থেকে সরে আসতে বলছেন গবেষকেরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল গবেষকের দাবি, বিতর্কিত যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করে মানব ভ্রূণে জিনগত পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা নিরাপদ কি না বা প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, সে প্রভাবগুলো খতিয়ে দেখার আগ পর্যন্ত এ ধরনের গবেষণা করা ঠিক হবে না। তাঁরা বলছেন, বিশেষ জার্ম লাইন প্রক্রিয়ায় জিনগত যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে তা বিপজ্জনক ও নৈতিকতাবিরোধী। এই পদ্ধতিতে মানুষকে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বা ইচ্ছানুযায়ী সন্তান নিতে উত্সাহী করবে। মানুষ তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জিনগুলোই কেবল ভ্রূণের মধ্যে চাইবে। এতে কেবল ‘নকশা করা’ শিশু জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে। কিছু গবেষক এ ধরনের গবেষণার ফল অনৈতিক কাজে ব্যবহারের আশঙ্কা করলেও কিছু গবেষক মনে করছেন ক্যানসারের মতো কিছু রোগের চিকিৎসায় এ ধরনের গবেষণা কাজে লাগানো যাবে। নেচার সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের গুয়াংজুর সান ইয়েতসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা প্রোটিন অ্যান্ড সেল সাময়িকীতে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। গবেষণা কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন গবেষক জুনজিউ হুয়াং। গবেষক জুনজিউ দাবি করেছেন, অকার্যকর ভ্রূণ ব্যবহার করে তাঁরা এই গবেষণা করেছেন যা শিশু হিসেবে জন্ম নিতে সক্ষম নয়। রক্তের সমস্যা বা বেটা-থ্যালাসেমিয়া তৈরির জন্য দায়ী জিনটিকে সিআরআইএসপিআর/ক্যাস ৯ নামের পদ্ধতিতে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে জিনের নির্দিষ্ট অংশ পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব হয়। গবেষকেরা মোট ৮৬টি ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা চালান। এতে ৭১টি জিন টিকে যায়, যার মধ্যে ৫৪টি ভ্রূণ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এই পরীক্ষায় সফলতা আশানুরূপ হয়নি। গবেষক হুয়াং জানিয়েছেন, সাধারণ মানব ভ্রূণের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করতে গেলে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তবেই পরীক্ষা করতে হবে। তাই পরীক্ষা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নকশাকৃত শিশু কি দোড় গোড়ায়?
জেনেটিকসের উন্নতির ফলে শতভাগ দক্ষতার সঙ্গে নকশাকৃত শিশু পাওয়া সম্ভব। ইঁদুরের জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রায় শতভাগ আকাঙ্ক্ষিত সফলতা মিলেছে বলে এক গবেষক দাবি করেছেন। যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক বিশেষজ্ঞ ড. টনি পেরি সতর্ক করে বলেছেন, আমাদের সমাজকে নির্দিষ্ট নকশা করা সন্তানসন্ততিকে গ্রহণ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, সম্প্রতি গবেষকেরা সিআরআইএসপিআর পদ্ধতিতে জিনগত ফুসফুস সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। এই পদ্ধতিতে জিনের নির্দিষ্ট অংশ সম্পাদনা করে কাঙ্ক্ষিত শিশু পাওয়া সম্ভব। শিশু জন্মের আগে তার জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে নির্দিষ্ট বা আকাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে এই পদ্ধতিটি নিষিদ্ধ নয়। মানব ভ্রুণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটানোর পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন গবেষক। চীনের সাংহাই টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ইতিমধ্যে বানরের ভ্রূণের জিনগত পরিবর্তন ঘটানোর ক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছেন। এখন মানব ভ্রূণের ক্ষেত্রে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির অপেক্ষায় আছেন গবেষকেরা। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের জেনেটিক বিশেষজ্ঞ জর্জ চার্চও মানব ভ্রূণ রূপান্তর করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। তিনি ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত নারীর চিকিৎসার সময় অপরিণত ডিম্বাণু কোষ ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
নৈতিক বিতর্ক
চীনা বিজ্ঞানীদের মানব ভ্রূণ নিয়ে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা থেকে সরে আসতে বলছেন গবেষকেরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল গবেষকের দাবি, বিতর্কিত যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করে মানব ভ্রূণে জিনগত পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা নিরাপদ কি না বা প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, সে প্রভাবগুলো খতিয়ে দেখার আগ পর্যন্ত এ ধরনের গবেষণা করা ঠিক হবে না। তাঁরা বলছেন, বিশেষ জার্ম লাইন প্রক্রিয়ায় জিনগত যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে তা বিপজ্জনক ও নৈতিকতাবিরোধী। এই পদ্ধতিতে মানুষকে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বা ইচ্ছানুযায়ী সন্তান নিতে উত্সাহী করবে। মানুষ তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জিনগুলোই কেবল ভ্রূণের মধ্যে চাইবে। এতে কেবল ‘নকশা করা’ শিশু জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে। কিছু গবেষক এ ধরনের গবেষণার ফল অনৈতিক কাজে ব্যবহারের আশঙ্কা করলেও কিছু গবেষক মনে করছেন ক্যানসারের মতো কিছু রোগের চিকিৎসায় এ ধরনের গবেষণা কাজে লাগানো যাবে। নেচার সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের গুয়াংজুর সান ইয়েতসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা প্রোটিন অ্যান্ড সেল সাময়িকীতে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। গবেষণা কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন গবেষক জুনজিউ হুয়াং। গবেষক জুনজিউ দাবি করেছেন, অকার্যকর ভ্রূণ ব্যবহার করে তাঁরা এই গবেষণা করেছেন যা শিশু হিসেবে জন্ম নিতে সক্ষম নয়। রক্তের সমস্যা বা বেটা-থ্যালাসেমিয়া তৈরির জন্য দায়ী জিনটিকে সিআরআইএসপিআর/ক্যাস ৯ নামের পদ্ধতিতে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে জিনের নির্দিষ্ট অংশ পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব হয়। গবেষকেরা মোট ৮৬টি ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা চালান। এতে ৭১টি জিন টিকে যায়, যার মধ্যে ৫৪টি ভ্রূণ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এই পরীক্ষায় সফলতা আশানুরূপ হয়নি। গবেষক হুয়াং জানিয়েছেন, সাধারণ মানব ভ্রূণের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করতে গেলে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তবেই পরীক্ষা করতে হবে। তাই পরীক্ষা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নকশাকৃত শিশু কি দোড় গোড়ায়?
জেনেটিকসের উন্নতির ফলে শতভাগ দক্ষতার সঙ্গে নকশাকৃত শিশু পাওয়া সম্ভব। ইঁদুরের জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রায় শতভাগ আকাঙ্ক্ষিত সফলতা মিলেছে বলে এক গবেষক দাবি করেছেন। যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক বিশেষজ্ঞ ড. টনি পেরি সতর্ক করে বলেছেন, আমাদের সমাজকে নির্দিষ্ট নকশা করা সন্তানসন্ততিকে গ্রহণ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, সম্প্রতি গবেষকেরা সিআরআইএসপিআর পদ্ধতিতে জিনগত ফুসফুস সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। এই পদ্ধতিতে জিনের নির্দিষ্ট অংশ সম্পাদনা করে কাঙ্ক্ষিত শিশু পাওয়া সম্ভব। শিশু জন্মের আগে তার জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে নির্দিষ্ট বা আকাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে এই পদ্ধতিটি নিষিদ্ধ নয়। মানব ভ্রুণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটানোর পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন গবেষক। চীনের সাংহাই টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ইতিমধ্যে বানরের ভ্রূণের জিনগত পরিবর্তন ঘটানোর ক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছেন। এখন মানব ভ্রূণের ক্ষেত্রে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির অপেক্ষায় আছেন গবেষকেরা। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের জেনেটিক বিশেষজ্ঞ জর্জ চার্চও মানব ভ্রূণ রূপান্তর করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। তিনি ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত নারীর চিকিৎসার সময় অপরিণত ডিম্বাণু কোষ ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
B অক্ষরে নির্বাচিত সেরা কিছু নাম বাংলা অর্থসহ
১। বাহী = ঐশ্বর্যশালী ।
২। বাবিক = অনুশাসন ।
৩। বাদিউল = তুলনাহীন ।
৪। বাদরান = সবচেয়ে সুন্দর ।
৫। বাহিন = বুদ্ধিমান ।
৬। বাসিম = স্মিত ।
৭। বাজিশ = আক্রমনাত্মক ।
৮। বাদইয়াহ = পরিস্কার ।
৯। বাহরুজ = উন্নতচরিত্র ।
১০। বিনা = প্রেক্ষা । ইসলামিক নামের জন্য চলে আসুন আমাদের সাইটে http://www.islamnames.info/
Sunday, March 27, 2016
৪ খুনের জন্য ৪ বছরের শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড!
খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে চার বছরের শিশুকে! তবে যখন তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তখন সে ছিল একবছরের শিশু! এমন ঘটনা ঘটেছে মিশরে। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া শিশুটির নাম আহমেদ মানসুর কারমি। একটি দু’টি নয়, তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যার অভিযোগ, আটটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, একটি ভাঙচুর-লুটপাট-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়া নিয়েও একটি অভিযোগ আনা হয়েছে! আর আদালতের নথি অনুযায়ী এ কাজগুলো সে করেছিল দ্বিতীয় জন্মদিনে পা দেওয়ার আগেই! আদালতের এমন রায় শুনে সমালোচনার ঝড় উঠে সারাবিশ্বে!
আহমেদ মানসুর কারমির জন্ম ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, লুটপাট, হুমকির অভিযোগ আনা হয় ২০১৪ সালের গোড়ার দিকে। গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির কাছ থেকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মুসলিম ব্রাদারহুড যখন তুমুল বিক্ষোভ করছিল, সেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আহমেদ মানসুর কারমির নাম। তখন সে এক পা, দু’পা করে হাঁটতে শিখেছে।
অবশ্য মামলায় শুধু কারমিই অভিযুক্ত ছিলেন না। সঙ্গে ছিলেন আরও ১১৪ জন। মঙ্গলবার রায়ে তাদেরকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের শুরুতে পশ্চিম কায়রোতে। রায় ঘোষণার সময় কারমি আদালতে উপস্থিত ছিল না। শিশুটির আইনজীবী ফয়সাল আল সায়েদ জেরুজালেম পোস্টকে জানান, শিশুটির নাম ভুল করে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আদালত মানসুর কারমির জন্ম সনদ দেখতে চাননি। জন্ম দেখাতে পারলে প্রমাণ হতো যে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কারমির জন্ম হয়েছে। ফয়সাল জানান, রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মনসুর কারমির জন্ম সনদ দেওয়া হয়েছিল যখন তাকে অভিযুক্তের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু এরপর মামলাটি সামরিক আদালতে হস্তান্তর করা হয়। আদালতে কারমির অনুপস্থিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় বিচারকরা মামলার নথিপত্র ভালো করে পড়েননি। আরেক আইনজীবী জানান, এই মামলার রায় প্রমাণ করে মিসরে কোনও ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না।
এখন কর্তৃপক্ষ বলছে, ঐ শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়টি আসলে ভুলক্রমে হয়েছে। একই নামের ১৬ বছর বয়সী আরেকজনের দণ্ড এই শিশুটিকে ভুলে জানানো হয়েছিল। দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন আদালতের কার্যক্রমে ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, লুটপাট, হুমকির অভিযোগ আনা হয় ২০১৪ সালের গোড়ার দিকে। গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির কাছ থেকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মুসলিম ব্রাদারহুড যখন তুমুল বিক্ষোভ করছিল, সেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আহমেদ মানসুর কারমির নাম। তখন সে এক পা, দু’পা করে হাঁটতে শিখেছে।
অবশ্য মামলায় শুধু কারমিই অভিযুক্ত ছিলেন না। সঙ্গে ছিলেন আরও ১১৪ জন। মঙ্গলবার রায়ে তাদেরকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের শুরুতে পশ্চিম কায়রোতে। রায় ঘোষণার সময় কারমি আদালতে উপস্থিত ছিল না। শিশুটির আইনজীবী ফয়সাল আল সায়েদ জেরুজালেম পোস্টকে জানান, শিশুটির নাম ভুল করে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আদালত মানসুর কারমির জন্ম সনদ দেখতে চাননি। জন্ম দেখাতে পারলে প্রমাণ হতো যে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কারমির জন্ম হয়েছে। ফয়সাল জানান, রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মনসুর কারমির জন্ম সনদ দেওয়া হয়েছিল যখন তাকে অভিযুক্তের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু এরপর মামলাটি সামরিক আদালতে হস্তান্তর করা হয়। আদালতে কারমির অনুপস্থিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় বিচারকরা মামলার নথিপত্র ভালো করে পড়েননি। আরেক আইনজীবী জানান, এই মামলার রায় প্রমাণ করে মিসরে কোনও ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না।
এখন কর্তৃপক্ষ বলছে, ঐ শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়টি আসলে ভুলক্রমে হয়েছে। একই নামের ১৬ বছর বয়সী আরেকজনের দণ্ড এই শিশুটিকে ভুলে জানানো হয়েছিল। দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন আদালতের কার্যক্রমে ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।
সকালে খালি পেটে পানি পান করবেন কেন ?
ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি। হ্যাঁ, এটি শরীরের জন্য খুব দরকারি। আমাদের পাকস্থলীর কার্যপ্রক্রিয়া সঠিক ভাবে চলার জন্য এই পানি খাওয়া উচিৎ। ঘুম থেকে জেগে ওঠার ঠিক পর পরই খালি পাকস্থলিতে পানি পান আপনার হৃদপিন্ডকে সুন্দর, স্বাস্থ্যবান করবে। খালি পাকস্থলিতে পানি পান করার এই চিকিৎসাটি জাপানী ওয়াটার থেরাফি হিসেবেই সারা বিশ্বে পরিচিত।
বাত, পীঠে ব্যথা, মাথা ব্যথা , হাপানী , শূল বেদনা, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিবোধক হিসেবে পানি পরীক্ষিতি ও প্রমানিত , সেইসাথে পানি কলেস্টরোলও কমিয়ে দেয়। তবে সারাদিন নিয়মিত পানি কান করা আর সকালে ঘুম থেকেই উঠেই খালি পেটে পানি পান করা এক নয়। খালি পেটে পানি পান করলে আপনি পাবেন বাড়তি অনেক সুবিধা।
সকালে অন্তত ৪ গ্লাস পানি পান করুন। শূন্য পাকস্থলিতে পানি খেলে সেটা আমাদের নাড়ী পরিষ্কার করে যা খাবার হজম করার প্রক্রিয়াটি খুব সহজ করে দেয়।
দাত ব্রাশ এবং পরিষ্কার করার ৪৫ মিনিট পর পর্যন্ত কোন খাবার খাবেন না। ৪৫ মিনিট অতিক্রম করলে আপনি ইচ্ছা মত খাবার খান এবং পানি পান করুন। শূন্য পাকস্থলিতে পানি পান নতুন রক্ত ও মাংস পেশী উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় ।
পানি পান করুন এতে করে খুব বেশী খাবার খেতে হবে না। ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। প্রত্যেকবার আহারের পর ২ ঘন্টা পর্যন্ত কোন কিছু পান করবেন ন। খালি পাকস্থলিতে পানি পান আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। অন্তত ১৬ আউন্স ঠান্ডা পানি সকালে ২৪ ঘন্টার বিপাক প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়।
শূন্য পাকস্থলিতে পানি পান লসিকা ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষা করে । এগুলো আপনার দৈনদিন কার্যক্রমে সাহায্য করে ,শরীরের জলীয় পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ইনফেকশনের সাথে লড়াই করে ।
স্মার্টফোন চুরি হলেও ভয় নেই যদি এই ৫টি অ্যাপস থাকে
আজকাল যেন স্মার্টফোন ছাড়া মানুষের জীবন চলেই না। দিন দিন এর চাহিদ ও ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু সেই সাথে বাড়ছে চুরির ঘটনাও।
আর স্মার্টফোন চুরি হওয়া মানে তো শুধু টাকার ক্ষতি নয়, অনেক কিছুর ক্ষতি। ডিভাইসগুলোতে থাকা মূল্যবান ডাটা অন্যের হাতে পরার শঙ্কা তো থাকেই, এছাড়া ফোনটি কোনো অপকর্মে ব্যবহার করা হলে আপনাকে ভুগতে হতে পারে। সুতরাং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অসংখ্য অ্যাপস রয়েছে। এর মধ্যে থেকে কয়েকটি অ্যাপস নিয়ে এ প্রতিবেদন।
Wheres My Droid: হারানো ফোন খুঁজে পেতে খুবই জনপ্রিয় অ্যাপ এটি। ফোনের অবস্থান চিহ্নিত করা, ফোনের তথ্য নিরাপদে রাখার জন্য এতে বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। ফ্রি, লাইট এবং প্রো নামের আলাদা তিনটি সংস্করণ রয়েছে এই অ্যাপের। চুরি যাওয়া ফোনের ফিচার নিয়ন্ত্রণ করা যায় এসএমএসের মাধ্যমে। এতে কমান্ডার নামে একটি অপশন রয়েছে। কমান্ডার সক্রিয় থাকলে অ্যাপটির মূল ওয়েবসাইট থেকে ফোনের অবস্থান নির্ণয় করা যায়। অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে https://goo.gl/00pvA লিংক থেকে।
Avast Mobile Security & Antivirus: এটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা দেওয়ার অ্যাপ। একই সঙ্গে অ্যান্টিভাইরাস ও ম্যালওয়্যার স্ক্যান করে। এতে App Disguiser ও Stealth Mode নামে দুটো বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারী চাইলে লুকিয়ে রাখতে পারেন। যদি ফোনটি চুরি হয়ে যায়, তবে অ্যাপটি আনইনস্টল করার পদ্ধতিটি বেশ জটিল। হারানোর পরে ফোনটি খোঁজা শুরু হলেই অ্যাপটি আনইনস্টল করা একরকম অসম্ভব। অ্যাপটি নিজে থেকেই সিস্টেম রিস্টোর করতে পারে এবং ফোনের ইউএসবি পোর্ট বন্ধ করে দিতে পারে। অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে https://goo.gl/vKe2Q লিংক থেকে।
PlanB: ফোনে আগে থেকেই যারা নিরাপত্তামূলক অ্যাপ ব্যবহার করেননি, ফোন চুরি হওয়ার পরে তারা অ্যাপ দিয়ে খুঁজতে পারবেন। ফোন হারিয়ে যাওয়ার পরে গুগল প্লে সাইটে গিয়ে প্ল্যান-বি অ্যাপের ইনস্টল ক্লিক করতে হবে। এরপর অ্যাপটি নিজে থেকেই আপনার চুরি যাওয়া ফোনে ইনস্টল হয়ে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে জিপিএস চালু হয়ে যাবে। ফোনটির অবস্থান বের করার পরপরই একটি ই-মেলের মাধ্যমে গুগল ম্যাপের লিংক-সহ ফোনের অবস্থানটি জানিয়ে দেওয়া হবে। অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে https://goo.gl/y1kAn লিংক থেকে।
Lookout Security & Antivirus: এটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ নেওয়ার অ্যাপ। এতে অ্যান্টিভাইরাস সুবিধাও রয়েছে। পাশাপাশি ফোনে থাকা নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও তথ্য ব্যাকআপ নেওয়ারও সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাপটিতে। আর ফোন হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে এসএমএসের মাধ্যমে ফোন লক করে দেওয়া বা অবস্থান চিহ্নিত করার সুবিধাও রয়েছে। অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে https://goo.gl/aqETy লিংক থেকে।
Android Device Manager: হারিয়ে যাওয়া ফোনের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য এই অ্যাপটি অনন্য। এই অ্যাপটি ফোনে ইনস্টল করা থাকলে, অন্য কোনো ডিভাইস থেকে খুব দ্রুত ওয়েবে ফোনটির অবস্থান জানা যাবে। এছাড়া ফোন লক করা, ডাটা মুছে ফেলা সুবিধা রয়েছে। অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে https://goo.gl/qHpG0P লিংক থেকে।
মধু ও দুধ একসঙ্গে খেলে কী হয়
বিভিন্ন রোগ নিরাময়কারী হিসেবে বহুকাল আগে থেকেই দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার প্রচলন চলে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান। দুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ডি। রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রাণিজ প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিড। দুধ ও মধু যখন একসঙ্গে মেশানো হয়, এটি আরো স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে, দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতার কথা।
মানসিক চাপ কমায়ঃ গরম দুধ ও মধু একসঙ্গে খেলে স্নায়ুর ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ বেশি থাকলে দিনে দুবার এই মিশ্রণ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুম ভালো করেঃ দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে ঘুমের এক ঘণ্টা আগে খেলে এটি মস্তিষ্কের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। মধু মস্তিষ্ককে শিথিল করে এবং ভালো ঘুমে সাহায্য করে।
হজম ভালো করেঃ পেট ফোলা ভাব বা হজমের সমস্যা হলে গরম দুধ ও মধুর মিশ্রণ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পাকস্থলী থেকে গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা কমায়।
হাড়ের জন্য ভালোঃ দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। আর মধুর মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী উপাদান। তাই দুধ ও মধুর মিশ্রণ হাড়ের জন্যও ভালো। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।
শক্তি বাড়ায়ঃ সকালবেলা গরম দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে খেলে কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সারা দিন শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইঃ মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। তাই পাকস্থলী ভালো রাখতে এই মিশ্রণ খেতে পারেন। তারুণ্য ধরে রাখেঃ মধু ও দুধের মিশ্রণ খাওয়া বার্ধক্যের আগমনকে ধীর করে। তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এই খাবার শতবর্ষ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মনোযোগ বাড়ায়ঃ মধু মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব ফেলে। আর দুধ মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। দুধ ও মধুর মিশ্রণটি মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমায়ঃ গরম দুধ ও মধু একসঙ্গে খেলে স্নায়ুর ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ বেশি থাকলে দিনে দুবার এই মিশ্রণ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুম ভালো করেঃ দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে ঘুমের এক ঘণ্টা আগে খেলে এটি মস্তিষ্কের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। মধু মস্তিষ্ককে শিথিল করে এবং ভালো ঘুমে সাহায্য করে।
হজম ভালো করেঃ পেট ফোলা ভাব বা হজমের সমস্যা হলে গরম দুধ ও মধুর মিশ্রণ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পাকস্থলী থেকে গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা কমায়।
হাড়ের জন্য ভালোঃ দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। আর মধুর মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী উপাদান। তাই দুধ ও মধুর মিশ্রণ হাড়ের জন্যও ভালো। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।
শক্তি বাড়ায়ঃ সকালবেলা গরম দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে খেলে কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সারা দিন শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইঃ মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। তাই পাকস্থলী ভালো রাখতে এই মিশ্রণ খেতে পারেন। তারুণ্য ধরে রাখেঃ মধু ও দুধের মিশ্রণ খাওয়া বার্ধক্যের আগমনকে ধীর করে। তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এই খাবার শতবর্ষ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মনোযোগ বাড়ায়ঃ মধু মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব ফেলে। আর দুধ মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। দুধ ও মধুর মিশ্রণটি মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতা রুখবে চুল পড়া
আপেলের সমান উপকারী পেয়ারাটি শুধু যে স্বাস্থ্যই ঠিক রাখে তা নয়, চুল পড়া রুখতেও কিন্তু এর জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারা পাতার রস করে চুলে লাগালে চুল পড়া তো কমবেই এবং চুল ঝকঝকে ও মসৃণ হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারা পাতা ভিটামিন ‘বি’ এবং মিনারেলে ভরপুর। ভিটামিন ‘বি’ চুলকে স্বাস্থ্যকর বানায়। আর এতে থাকা ভিটামিন বি-২ নষ্ট হয়ে যাওয়া হেয়ার রুটের কোষ মেরামত করে চুলকে মসৃণ করে তোলে। তবে পেয়ারা পাতার রস সরাসরি চুলের গোড়ায় না দেয়াই ভালো। অনেক পরিষ্কার পেয়ারা পাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট সেই পানি ফুটতে দিন। এতে পেয়ারা পাতার সব গুণাগুণ পানিতে চলে আসবে। পরে ঠাণ্ডা করে পানি ছেঁকে একটা শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। রোজ স্নানের কিছু আগে চুলের গোড়া এবং পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। কয়েক মাসের মধ্যে নিজেই পার্থক্য বুঝবেন।
Saturday, March 26, 2016
A অক্ষরে নির্বাচিত সেরা কিছু নাম বাংলা অর্থ সহ
আমাদের নামের সাইট ইসলামিক নাম বা অর্থ জানতে চলে আসুন , এখানে ক্লিক করুন www.islamnames.info
১। আদ্বীন = বাধ্য ।
২। আফা = ক্ষমাশীল ।
৩। আহিল = রাজপূত্র ।
৪। আলী = উচ্চ ।
৫। আমিল = কারিগর ।
৬। আরিজ = নেতা ।
৭। আছাল = বাস্তব ।
৮ । আশিক = প্রেমিক ।
৯। আছিম = অভিভাবক ।
১০। আবহাত = নির্ভুল ।
১। আদ্বীন = বাধ্য ।
২। আফা = ক্ষমাশীল ।
৩। আহিল = রাজপূত্র ।
৪। আলী = উচ্চ ।
৫। আমিল = কারিগর ।
৬। আরিজ = নেতা ।
৭। আছাল = বাস্তব ।
৮ । আশিক = প্রেমিক ।
৯। আছিম = অভিভাবক ।
১০। আবহাত = নির্ভুল ।
Thursday, March 24, 2016
মাত্র এক দিনেই কাশি সারাবে পেঁয়াজ দেখুন ব্যবহার পদ্ধতি
মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা সম্ভব পেঁয়াজ ব্যবহার করে। সর্দিতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা জানান, পেঁয়াজের মধ্যে সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক উপাদান থাকে।
এসব উপাদান হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব উপাদান ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ কার্যকর।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ তিন লিটার পানি তৈরির পদ্ধতি পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায় নিয়ে উত্তপ্ত করুন।পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে। ব্যবহারবিধি – দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান – দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালি – পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয় ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন। ব্যবহারবিধি – দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
১.উপাদান : এক কেজি পেঁয়াজ তিন লিটার পানি তৈরির পদ্ধতি পেঁয়াজের ওপরের খোলস ও দুই পাশ পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরো করুন। কাটা পেঁয়াজ একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে তিন লিটার পানি দিন। পাত্রটি চুলায় নিয়ে উত্তপ্ত করুন।পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আগুন থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে। ব্যবহারবিধি – দিনে দুবার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
২. উপাদান – দুটি মাঝারি আকৃতির অর্গানিক আপেল দুটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ ১৪টি আখরোট (বাদাম)
প্রস্তুত প্রণালি – পেঁয়াজ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি পেঁয়াজ চার টুকরোয় ভাগ করুন। আপেলও ধুয়ে চার টুকরোয় ভাগ করুন। আখরোট ভেঙে নিন। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে পানি দিন। পাত্রটিকে চুলোর আগুনের ওপর দিন। পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন। ব্যবহারবিধি – দিনে তিনবার এক কাপ করে সেবন করুন।
হাতের পেশী কিভাবে বাড়ানো বা মোটা করা যায়?
প্রচুর ক্যালরী সমৃদ্দ খাবার গ্রহন করুন নিয়মিত। সেই সাথে হাতের ব্যায়াম করার জন্য ডাম্বেল ব্যবহার করতে পারেন। সকালে খালি পেটে কাচাছোলা খাবেন প্রতিদিন। দেহে পরিমিত খাদ্য গ্রহনের পাশাপাশি নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখুন।
পুষ্টিকর খাদ্য, সঠিক নিয়মে প্রতিদিন ব্যায়াম, পরিমিত ঘুম এই তিনটি বিষয় ঠিকমতো মেইনটেইন করতে পারলে দেহকে যেকোন শেপে গড়ে তোলা সম্ভব। আরো ভালো হয় কোন অভিজ্ঞ জিম ইন্সট্রাক্টর থেকে পরামর্শ নিয়ে সে মোতাবেক কাজ করলে।
সকলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান। সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারটা নারী পুরুষ ভেদে একটু আলাদা । এই ভিন্নতার কারন হচ্ছে সুস্বাস্থ্যের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে এক এক রকম। মেয়েদের ক্ষেত্রে মেদহীন ছিপছিপে গড়নের দেহকে সুস্বাস্থ্য মনে করা হয়। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে মেদহীন পেশী বহুল দেহকে সুস্বাস্থ্য হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু প্রকৃত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে মানসিক ও শারিরীক ভাবে রোগমুক্ত,কর্মোদ্দ্যমী, প্রচুর প্রানশক্তি সম্পন্ন ব্যাক্তিকে বুঝায়। আপনার পেশী বহুল দেহ আছে কিন্তু সে তুলনায় প্রানশক্তি বা স্ট্যামিনা, ভারসাম্যতা, নমনীয়তা এগুলো অনেক কম তাহলে আপনাকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলা যাবে না। যেসকল তরুন সুন্দর পেশী বহুল দেহের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের সব গুলি বৈশিষ্ট্য ধারন করতে চান তাদের জন্য কতগুলি চমৎকার ব্যায়ামের বিস্তারিত এখানে আলোচনা করা হল।
এই ব্যায়ামটি রক্ত সঞ্চালন এবং দ্রুত চর্বি পোড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। পাশাপাশি পরবর্তী ব্যায়াম গুলোর জন্য আপনার শরীরকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে। সেজন্য একে “অ্যাকটিভ ওয়ার্ম আপ” ও বলা হয়। আপনার শরীরের বৃহৎ পেশীগুলোকে মজবুত করবে। সেই সাথে ব্যালেন্স , স্ট্যাবিলিটি এবং ফেক্সিবিলিটিও উন্নত করবে। কিভাবে করবেন – এই ব্যায়ামটির জন্য প্রয়োজন প্রচুর ভারসাম্য শক্তি। শুরুতে আপনার ব্যালেন্সের সমস্যা হবে। তাই আপনি প্রথম প্রথম দেয়ালের কাছে প্রায় পিঠ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ব্যায়ামটি চর্চা করতে পারেন। সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর এক পায়ে দাঁড়িয়ে অন্য পা’টিকে সোজা রেখে যথাসম্ভব উপরের দিকে তুলুন (১)। তারপর অন্য পায়ের উপর ভর করে ধীরে ধীরে নিচে বসতে থাকুন যতক্ষন না পর্যন্ত আপনার নিতম্ব পায়ের গোড়ালী স্পর্শ না করছে
(২)। এরপর এক পায়ে ভর দিয়ে আবার সোজা হয়ে দাঁড়ান। আপনার চেষ্টা থাকবে যেন দেয়ালের সাথে আপনার শরীরের স্পর্শ কম হয়।
নিয়মিত চর্চা করলে প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি কোন কিছুর সাহায্য ছাড়াই এই ব্যায়ামটি করতে পারবেন। ব্যায়ামটি তিনটি সেটে করুন। প্রথম ও দ্বিতীয় সেটে ১৪ বার করুন। তৃতীয় সেটে ১২ বার করুন। প্রতি সেটের মাঝে ৩০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন।
থ্রী পয়েন্ট বার্পি জ্যাকনাইফ কেন করবেন:-
এর সাইড টু সাইড মুভমেন্ট আর কিছুটা ঘূর্ণনের কারনে পেটের ভালো ব্যায়াম হবে এবং হাঁটুর শক্তি বৃদ্ধি পাবে । পাশাপাশি লাফানোর কারনে কার্ডিও ফিটনেসও বৃদ্ধি পাবে। কিভাবে করবেন – প্রেস আপ পজিশন নিন
(১)। হাত দুটোকে ফ্লোরে রেখে এক লাফে পা দুটোকে আপনার হাতের ডানদিকে বুকের কাছে আনুন। যখন আপনার পা মেঝেতে এসে নামবে তখনই সোজা উপরের দিকে লাফ দিয়ে শুন্যে উঠে যান
(২)। আবার যখন মেঝেতে পা ফেলবেন তখন পা দুটি সোজা করে প্রেস আপ পজিশনে ফিরে যান। এবার একই ভাবে বাম দিক থেকে করুন
(৩)। এভাবে বার বার করুন। প্রথম ১০বার করার পরে একটু ব্যাথা হতে পারে কিন্তু পরে ঠিক হয়ে যাবে। তিনটি সেটের মধ্যে প্রথম দুই সেটে ২০বার করুন। তৃতীয় সেটে ১৬বার করুন। প্রতি সেটের মাঝে ৩০সেকেন্ড বিশ্রাম নিন।
এর মুভ গুলোতে শরীরের উপরের অংশে ব্যায়াম হয় যা বারবেলের মত সমান কার্যকর। কাঁধ আর বাহুতেও কাজ করে। কিভাবে করবেন – প্রথমে দেয়ালের কাছাকাছি পেছন ফিরে সোজা হয়ে দাঁড়ান। তারপরে হাত দুটিকে কাঁধের দু’ পাশে মেঝেতে রাখুন। এবার দু’হাতে ভর করে দেয়াল বেয়ে পা দুটোকে উপরে তুলুন ৭০ ডিগ্রী পযর্ন্ত। এই অবস্থায় ছোট ছোট পদক্ষেপে হাত ও পা দিয়ে পার্শ্ব বরাবর হাঁটুন। একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব পর্যন্ত এগিয়ে যান এবং আবার আগের জায়গায় ফিরে আসুন। তিনটি সেটে ব্যায়ামটি করতে হবে। তিনবার করার পর অল্প কিছুক্ষন লাফাতে হবে পরবর্তী ব্যায়ামটি করার জন্য।
পায়ের পেশীর জন্য এটি একটি চমৎকার ব্যায়াম। তাছাড়া পায়ের পেশীতে অতিরিক্ত ক্যালরী পোড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কিভাবে – দু’ পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার ধীরে ধীরে নিচের দিকে ঝুঁকে পড়ুন। লাফ দিয়ে আপনাকে সামনে গিয়ে পড়তে হবে। তাই লাফ দিয়ে আপনার সর্বোচ্চ উঁচুতে উঠতে যতটুকু নিচে নামতে হবে ঠিক ততটুকুই নিচে দিকে নামুন। ব্যায়ামটি ভালভাবে করার জন্য আপনার হাত দুটোকে সামনের দিকে তুলে দিন। যতটুকু নিচে ঝুঁকে লাফ দিয়ে উপড়ে ছিলেন ঠিক ততটুকু নিচে ঝুঁকে লাফিয়ে পড়ুন। এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে এক লাফে স্টার্টিং পজিশনে ফিরে আসুন। তিনটি সেটে ব্যায়ামটি করুন।
Monday, March 21, 2016
হারিকেন এর আলোতে হাস বা মুরগির বাচ্চা ফুটানোর পদ্ধতি
উৎপাদন-পদ্ধতি: ডিম ফোটানোর জন্য ব্যবহূত হয় স্থানীয়ভাবে ‘সিলিন্ডার’ নামে পরিচিত বিশেষ পাত্র, ডিম রাখার মাচা এবং উৎপাদিত হাঁসের ছানা রাখার জায়গা। কাঠ, বাঁশ ও টিন দিয়ে ওই বিশেষ পাত্র ও মাচা তৈরি করা হয়। এ ছাড়া প্রয়োজন হয় তুষ, হারিকেন, লেপ, রঙিন কাপড়সহ আনুষঙ্গিক কিছু উপকরণ। ডিম সংগ্রহের পর জীবাণুনাশক দিয়ে সেগুলো ধুয়ে বাছাই করে রোদে শুকানো হয়। এরপর ডিমগুলো রঙিন কাপড়ের থলেতে নির্দিষ্ট পরিমাণে ভরে সিলিন্ডারের ভেতরে রাখতে হয়। এক সিলিন্ডারে ডিম ও অন্য সিলিন্ডারে হারিকেন রেখে প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর তাপ এবং তাপবিহীন অবস্থায় লেপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। পর্যায়ক্রমে এই প্রক্রিয়া ১৭ দিন ধরে চলে। এরপর ডিমগুলো মাচার ওপর সাজিয়ে হালকা কাপড়ে ঢেকে ১১ দিন রাখা হয়। ১২ দিনের মাথায় একের পর এক ডিম ফুটে হাঁসের ছানা বেরোতে থাকে। এভাবে ডিম ফোটাতে ২৮ দিন লাগে।
দামিহাসহ তিন গ্রামে তুষ-হারিকেন পদ্ধতিতে বাচ্চা ফোটানোর মোট ৩০টি হ্যাচারি গড়ে উঠেছে। প্রতিটি হ্যাচারিতে এই পদ্ধতিতে প্রতি মাসে পর্যায়ক্রমে চারবার ডিম ফোটানো যায়। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত প্রায় সোয়া দুই মাস ছানা উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ ছাড়া বছরের বাকি সময় ডিম ফোটানোর কাজ অব্যাহত থাকে এখানে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাস ডিম ফোটানোর জন্য উৎকৃষ্ট সময়। ৩০টি হ্যাচারি থেকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে সোয়া দুই লাখ বাচ্চা উৎপাদন করা হয়।
বাচ্চা ফোটানোর জন্য হাঁসের ডিম সংগ্রহ করা হয় খালিয়াজুরি, ইটনা, মিঠামইন, মদন, করিমগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এ জন্য ডিম উৎপাদনকারী খামারিদের অগ্রিম দাদন দিয়ে চুক্তি করে নিতে হয়।
খরচ ও লাভ: এই প্রক্রিয়ায় প্রতি ১০০ ছানা উৎপাদনে এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। প্রতি ১০০ ছানা বিক্রি হয় এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে প্রতিটি বাচ্চা উৎপাদনে গড়ে লাভ হয় তিন-চার টাকা। সময়ভেদে এ লাভের পরিমাণ কমবেশি হয়।
এক দিন বয়সী হাঁসের ছানাগুলো পাইকারেরা কিনে নেন। এরপর সেগুলো সিলেট, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা, যশোর, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়। তাপমাত্রার ওঠানামা হলে মাঝেমধ্যে সব ডিম নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই ঝুঁকি এড়াতে সব সময় সতর্ক থাকতে হয় হ্যাচারির শ্রমিকদের।
স্থানীয়দের কথা: তুষ-হারিকেন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন দামিহা গ্রামের সোহাগ মিয়া, রাহেলা গ্রামের নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের অসিম মিয়া ও কাছিলাহাটি গ্রামের কাজল মিয়া। এলাকায় এই পদ্ধতির প্রচলন করায় তাঁরা আবুল হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দামিহা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক হিতাংশু চৌধুরী ও মো. আবুল হাসেম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, তুষ-হারিকেন পদ্ধতিতে বাচ্চা ফোটানোর ফলে এলাকার পরিচিতি যেমন বেড়েছে, বিপুল মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে। তাঁরা বলেন, তুষ-হারিকেন পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে দামিহা এলাকায় কোনো হ্যাচারিশিল্প ছিল না। বর্তমানে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগই আগে বেকার ছিলেন। একই গ্রামের বাসিন্দা ভাস্কর্যশিল্পী সুষেন আচার্য বলেন, তুষ-হারিকেন পদ্ধতিতে হাঁসের ছানা উৎপাদন একটি শিল্প। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা দেওয়া হলে ক্ষুদ্র এই শিল্পের পরিসর আরও বাড়বে।
সুদৃষ্টি কামনা: স্থানীয় হ্যাচারিগুলোর প্রতি প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে। সরকারি ঋণসুবিধা না থাকায় তাঁরা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ঋণ নিয়ে হ্যাচারি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এরই মধ্যে ২০১০ সালে গঠিত হয়েছে ‘দামিহা ইউনিয়ন হ্যাচারি মালিক সমিতি’। আবুল হোসেন এই সমিতির সভাপতি। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে আবুল হোসেন বললেন, সহজ শর্তে স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হলে এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে। আর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ছাইফুল ইসলাম বললেন, সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে এখানকার হ্যাচারিশিল্প আরও সমৃদ্ধ হয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
সূত্র: প্রথম আলো
বাছাই করা সেরা ২০ টি নাম অর্থ সহ
Sunday, March 20, 2016
শরীরের দুর্গন্ধ কমানোর কয়েকটি সহজ উপায়
গায়ে দুর্গন্ধ। চেনা পরিচিত অপরিচিত সকলের কাছেই লজ্জায় ছোট হয়ে যেতে হয় যদি আপনার গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়। আর এই সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে শরীরের দুর্গন্ধ দূর করবেন তার কিছু উপায় দেওয়া হল।
সারাদিন রোদে গরমে থাকলে শরীর ঘেমে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর কারণেই শরীরের দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। তবে এর আরও অনেক কারণ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এটা জেনেটিকও। তবে ঘামের ফলে যে দুর্গন্ধ দেখা দেয় তা কমানোর উপায় রয়েছে।
১) রোজ ভালো করে স্নান করা প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, শরীরের বেশ কিছু অংশে যেখানে ঘাম জমে কিন্তু শুকোতে পারে না, সেই সমস্ত স্থান রোজ ভালো করে পরিষ্কার রাখতে হবে।
২) স্নানের জন্য শুধু সাবানই যথেষ্ট নয়। ব্যবহার করতে হবে এমন কোনও অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড, যা আপনার শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।
৩) খাবারের নিয়মের জন্যেও শরীরের দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। তাই এমন খাবার খেতে হবে, যা থেকে শরীরে দুর্গন্ধ না হয়।
৪) ঘাম থেকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। আর সেই ব্যাকটেরিয়ার ফলেই শরীরে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। তাই যে যে স্থানে ঘাম জমে সেই স্থানগুলি শুকনো রাখতে হবে।
৫) অনেকেরই ধারনা আছে যে ডিওড্রেন্ট মাখলেই ঘাম কম হয়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ডিওড্রেন্ট ঘাম কমাতে সাহায্য করে না। তবে শরীরের দুর্গন্ধ ঢাকতে সাহায্য করে।
৬) সারাদিনে অন্তত ২ বার স্নান করা দরকার।
৭) সুতির পোশাক পরলে ঘাম জমতে পারে না।
৮) সারাদিনে প্রচুর পরিমানে জল খেতে হবে।
৯) আন্ডার আর্ম সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
১০) তেল মশলা জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
গর্ভধারণের পূর্ব প্রস্তুতির ১০ অত্যাবশ্যকীয় কাজ
আপনি নিশ্চয় যেকোন কাজ করার আগে দশবার ভেবে দেখেন। কোনটা ভালো? কেমন? কাজটা ঠিক হবে কিনা। এমন হওয়া আর করাটাই স্বাভাবিক এবং সঠিক। কিন্তু যখন কথা আসে আপনার জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার তখন কেন কোণ প্রস্তুতি নেই?
আমাদের দেশে সন্তান নেয়ার আগে প্রস্তুতি গ্রহণের বলতে গেলে কোন নিয়ম নেই। যার কারণে বেশিরভাগ নারীরই সমস্যা হয়ে থাকে গর্ভধারণ করতে বা গর্ভ ধারণ করলেও অসুস্থ শিশুর জন্ম হয়। গর্ভধারণ কাল ও ডেলিভারি পর্যন্ত এবং একজন সুস্থ শিশুকে জন্ম দেয়া পর্যন্ত কিছু কাজ আপনাকে করতেই হবে। এছাড়াও নিজের মনে মনে সন্তানের জন্য প্রস্তুতি নিন। সন্তানের জন্য সঞ্চয় শুরু করুন, মনে মনে সন্তানের কল্পনা করুন। এগুলো আপনার মনকে প্রফুল্ল রাখবে। সন্তান গ্রহনের চেষ্টার সময় একটা মিনি হানিমুনও সেরে আসতে পারেন দুজনে। এটাও আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।
আপনার শরীরকে একটি সন্তানের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে, সন্তানকে জন্ম দেয়ার ব্যাপারটিকে অনেক সহজ করে দিতে এবং আপনার শিশুটি যেন সুস্থ সবল ভাবেই পৃথিবীতে আসে সেটি নিশ্চিত করতে আপপ্নার ১০ টি কাজ করতে হবে।
আসুন জেনে নেই গর্ভধারণ প্রস্তুতির আগের ১০ টি কাজ কি কি –
১। আপনার ওজন যতই হোক দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করে তুলুন। এই অভ্যাস আপনার শরীরকে ঝরঝরে ও সুস্থ সবল রাখবে, আপনি থাকবেন নীরোগ, সন্তান ধারণ ও ডেলিভারিকে অনেকটাই সহজ করে দেবে।
২। খাদ্যাভ্যাসকে একেবারে শুধরে ফেলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস করুন যা আপনার উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ভাজা পোড়া ও অতিরিক্ত লবণ, রঙ, ফ্লেভার যুক্ত খাবার বাদ দিয়ে প্রচুর সবজি ও ফল খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এখন আপনার প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম , মিনারেল, ফলিক এসিড ইত্যাদি প্রয়োজন।
৩। গর্ভধারণ করতে চাইলে আপনার দিনে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড গ্রহণ করা প্রয়োজন। ফলিক এসিড নিয়মিত গ্রহণ করুন। এই ভিটামিনটি শিশুর অনেকগুলো জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে থাকে। সবুজ শাক পাতা, টক জাতীয় ফলে প্রচুর ফলিক এসিড পাওয়া যায়।
তবে বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ডাক্তারের পরামর্শে মাল্টি ভিটামিন গ্রন করতে পারেন।
৪। ওজনের দিকে লক্ষ করুন। বেশী রোগা হলে বা বেশি মোটা হলে গর্ভধারণ করতে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। ওজন সঠিক হলে গর্ভ ধারণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। সাথে বাড়বে সহজে ডেলিভারি হবার সুযোগ। তাই নিজেকে সুন্দর একটি আকৃতি ও ভার দিন।
৫। আপনার কোন শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করান, কারণ বাচ্চা পেটে আসার পর অনেক ধরণের ওষুধই আপনি আর গ্রহণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে গর্ভধারণের পূর্বে আপনাকে কোন ভ্যাক্সিন নিতে হবে কিনা বা আরও কিছু করতে হবে কিনা সেটাও ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।
৬। দাঁতে কোন রকম সমস্যা থাকলে কনসিভ করার আগেই চিকিৎসা করিয়ে ফেলুন। কারণ গর্ভাবস্থায় দাঁতের চিকিৎসা করানো যায় না।
৭। মাছ মাংস খাওয়ার ব্যাপারে প্রচণ্ড সতর্ক থাকুন। খেয়াল রাখুন আপনার খাওয়া মাছ বা মাংস যেন খুব ভালো করে রান্না করা হয়। একই সাথে যেসব বড় মাছ অন্য ছোট মাছকে খায়, সেগুলো খাওয়া হতে বিরত থাকুন। কারণ এগুলোতে উচ্চ মাত্রায় মারকারি থাকতে পাড়ে, যা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর।
তৃণভোজী ছোট মাছ খাবেন। আর ইয়া, টুনা ফিস জাতীয় মাচ খাবেন না একেবারেই!
৮। সন্তান গ্রহণ কুরতে চাইলে কনসিভ করার আগে ও পরে চা-কফি ও কোমল পানীয় পান করা ছেড়ে দিন বা একেবারেই কমিয়ে ফেলুন। আপনি ১২ আউন্সের এক কাপ কফি বা ৮ আউন্সের এক কাপ চা গ্রহণ করতে পারবেন দৈনিক, এর বেশি নয়। সম্ভব হলে ক্যাফেইন বিহীন চা কফি পান করুন বা দুধ সহযোগে পান করুন। লাল চা বা কালো কফি এই অবস্থায় ভালো নয়।
৯। ধূমপান ত্যাগ করুন অতি অবশ্যই।
১০। কোন প্রকার মাদক ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন।
ব্রণের কালো দাগ দূর করবেন যেভাবে
নারী-পুরুষ সবাইকেই কমবেশি ব্রণের সমস্যায় পড়তে হয়। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হলে ব্রণ হয়।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় তখন, যখন ব্রণ চলে গেলেও এর দাগ থেকে যায়। সুন্দর মুখখানি দেখতে তখন কুশ্রী হয়ে যায়। যা হোক প্রাকৃতিক উপায়ে এ দাগ দূর করা যায় সহজেই। টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে তেমন কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো—
-লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিংয়ের কাজ করে। কাজেই ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে বাইরের সূর্যের আলো থেকে এসেই এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
-দাগ দূর করার অপর একটি কার্যকরী উপাদান হচ্ছে মধু। কাজেই প্রতি রাতে এটি মুখে লাগান এবং সকালে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি ত্বকে ক্ষত থাকে তবে এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, নয়তো এটি ত্বকে জ্বালার সৃষ্টি করবে।
-অ্যালোভেরা জেল শুধু ক্ষত আরোগ্য লাভে ব্যবহার করা হয় না, এটি ক্ষত হয়ে যাওয়া টিস্যুর দ্রুত পুনর্নির্মাণেও সাহায্য করে। এটি প্রতিদিন দু’বার ব্যবহার করুন এবং হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
Tuesday, March 8, 2016
চোখের সুস্থতায় ৬টি অসাধারণ খাবার
আপনার চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারবে। এমনি ৬টি পুষ্টি কর খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
পালংশাক
আপনার দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে হলে প্রতিদিন পালংশাক এর সাথে সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। যেমন- পাতা কপি, শালগম, সরিষা পাতা, বরবটি, পেঁপে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সবুজ শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, লুটেইন এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে যা চোখের জন্য অনেক উপকারী।
পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে যা চোখের কর্নিয়া রক্ষা করে, লুটেইন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে এবং ম্যাঙ্গানিজ চোখের দৃষ্টি উন্নয়নে সাহায্য করে। বেশি উপকারিতা পেতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পালংশাকের জুস খাওয়া উচিত। এছাড়া শাক বিভিন্ন সালাদ অথবা রান্না করেও খাওয়া যেতে পারে।
রুই মাছ
নিয়মিত রুই মাছ খেলে তা আপনার চোখের রেটিনাকে রক্ষা করে এবং চোখের অন্ধত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে। রুই মাছে ওমেগা- ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা সমৃদ্ধ যা চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে অন্তত দুই দিন রুই মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন। রুই মাছে বিভিন্ন ভাবে স্যুপ অথবা প্রধান ডিশ হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অন্যান্য ঠাণ্ডা জলের মাছ হেরিং, ম্যাকরল, সারডিন এবং টুনা সাহায্য করে।
গাজর
গাজরে প্রচুর পরিমানে বিটা-ক্যারোটিন থাকে যা ভিটামিন এ কে ধারন করে। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, একটি সুস্থ ও পরিষ্কার কর্নিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার চোখ এবং আপনার শরীর জুড়ে কোষ রক্ষার্থে সাহায্য করে। গাজরে লুটেইন থাকে যা রেটিনার কাছে হলুদ ডিম্বাকৃতির মেষকে প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া গাজরে ফাইবার এবং পটাসিয়ামও থাকে। আপনি গাজরকে স্ন্যাক হিসেবেও খেতে পারেন অথবা সুপ, সালদে বা সাইড ডিশ হিসেবেও খেতে পারেন।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে যা চোখের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ধারন করে। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের ছানি ও গ্লুকৌমা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভিটামিন এ শুষ্ক চোখের সমস্যা সমাধান করে এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস উভয় থেকে চোখকে রক্ষা করে। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমানে বিটা-ক্যারোটিন, পটাসিয়াম ও ফাইবার উপস্থিত থাকে। মিষ্টি আলু ৪০০ রকম বৈচিত্রে সারা বছর আসে এবং তা সিদ্ধ করে, ভেজে অথবা রান্না করে খাওয়া যায়।
মরিচ
আপনার চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য আপনি নিয়মিত সবুজ, লাল, হলুদ, কমলা, বাদামি এবং কালোসহ বিভিন্ন রকম মরিচ খেতে পারেন। মরিচে সবচেয়ে বেশি পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি থাকে। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি সংরক্ষনে সহায়তা করে সাথে ভিটামিন সি চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
একই সময়ে মরিচে ভিটামিন বি-৬, লুটেইন, ম্যাঙ্গানিজ, বিটা-ক্যারোটিন এবং লাইসোপিনি থাকে। এই সব পুষ্টি চোখের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। আপনার খাদ্যে মরিচ বিভিন্নভাবে ব্যাবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি সালাদে মরিচ ব্যাবহার করতে পারেন।
আখরোট
আখরোটে বেশি পরিমানে ওমেগা- ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা চোখের সার্বিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আখরোটে অ্যান্টিঅক্সিডেনট সমূহ, জিংক ও ভিটামিন ই আছে যা প্রদাহ এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সংরক্ষনে সহায়তা করে। দৈনিক মুঠোভরে আখরোট খেলে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং বিভিন্ন দৃষ্টি সমস্যার হাত থেকে চোখকে রক্ষা করে।
Monday, March 7, 2016
পুরুষের ত্বকের জন্য যা যা ক্ষতিকর
ঢাকা: আজকের ব্যস্ত পুরুষ নিজের ত্বকের প্রতি উদাসীন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজের অজান্তেই ক্ষতি করেন ত্বকের। নারীদের তুলনায় পুরুষরা ত্বকের ব্যাপারে কম সচেতন। আর এ জন্যেই নারীদের আগেই তারা বুড়িয়ে যান।
অনেকে আবার মনে করেন রূপচর্চা একটা মেয়েলি ব্যাপার। তবে নিয়ম মেনে রূপচর্চা না হোক, ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর জিনিসগুলো এড়িয়ে চললেই আপনার ত্বক থাকবে অনেকটা সুস্থ। তাই জেনে নিন কোন জিনিসগুলো পুরুষের ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর-
রোদ
রোদ পুরুষের ত্বকের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে আপনার ত্বকে ক্যানসারও হতে পারে। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করাটাও অনেক কষ্টের।
রোদ পুরুষের ত্বকের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে আপনার ত্বকে ক্যানসারও হতে পারে। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করাটাও অনেক কষ্টের।
সুইমিং পুল
সুইমিং পুলের পানিতে থাকে ক্লোরিন, যা ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। তাই বাড়িতে এসে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করা উচিৎ।
সুইমিং পুলের পানিতে থাকে ক্লোরিন, যা ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। তাই বাড়িতে এসে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করা উচিৎ।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ আপনার ত্বকের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর। তাই যতোটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন। ঘুমানোর আগে সব চাপ ভুলে হালকা হয়ে ঘুমাতে যান।
মানসিক চাপ আপনার ত্বকের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর। তাই যতোটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন। ঘুমানোর আগে সব চাপ ভুলে হালকা হয়ে ঘুমাতে যান।
ধোঁয়া
যানবাহনের ধোঁয়া এবং দূষণের ফলে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে। তাই ঘরে ফিরে ক্লিনজার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
যানবাহনের ধোঁয়া এবং দূষণের ফলে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে। তাই ঘরে ফিরে ক্লিনজার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
ধূমপান
ধূমপান ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। এটা ত্বকে বিভিন্ন জটিল সমস্যা তৈরি করে। তাই ধূমপান ছাড়ুন।
ধূমপান ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। এটা ত্বকে বিভিন্ন জটিল সমস্যা তৈরি করে। তাই ধূমপান ছাড়ুন।
সাবান
আপনার ত্বকের নমনীয়তা কেড়ে নেয় সাবান। অতিমাত্রায় সাবানের ব্যবহার ত্বকে ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই সাবানের পরিবর্তে কম ক্ষারযুক্ত বেবি সাবান ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সাবান ব্যবহার পুরোপুরি ছেড়ে দিন।
আপনার ত্বকের নমনীয়তা কেড়ে নেয় সাবান। অতিমাত্রায় সাবানের ব্যবহার ত্বকে ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই সাবানের পরিবর্তে কম ক্ষারযুক্ত বেবি সাবান ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সাবান ব্যবহার পুরোপুরি ছেড়ে দিন।
Friday, March 4, 2016
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে বাচ্চার গায়ের রঙ ফর্সা (উজ্জ্বল) হয়
বিশেষজ্ঞদের মতে
খাদ্য নির্বাচনের উপর
সন্তানের শরীরের বর্ণ
কেমন হবে তা নির্ভর
করে না, এটা নির্ভর
করে তাঁর বাবা-মা এর
কাছ থেকে যে জিন
পেয়েছে তার উপর।
তবে প্রচলিত ধারণা
অনুযায়ী গর্ভবতী
অবস্থায় যে খাবার
গুলো খেলে বাচ্চার
বর্ণ ফর্সা হতে পারে ,
এমন কিছু খাবারের
তালিকা পরিবারের
বয়োবৃদ্ধরা দিয়ে
থাকেন। সেগুলো
জেনে নিই আসুন।
১। জাফরান দুধ
অনেক মহিলা গর্ভবতী
অবস্থায় জাফরান
দেয়া দুধ পান করে
থাকেন। মনে করা হয়
জাফরান গর্ভের শিশুর
গায়ের রঙ ফর্সা করে।
২। নারিকেল
প্রচলিত ধারণা
অনুযায়ী
নারিকেলের সাদা
শাঁস গর্ভের শিশুর বর্ণ
ফর্সা করে। তবে
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত
নারিকেল খাওয়া
মোটেই স্বাস্থ্য সম্মত
নয়। খেতে পারেন,
তবে পরিমিত।
৩। দুধ
গর্ভবতী মহিলাদের দুধ
পান করা অত্যাবশ্যকীয়।
দুধ শিশুর শরীর গঠনের
জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
প্রচলিত ধারণা মোটে
দুধও ত্বকের রঙ ফর্সা
করতে সহায়ক।
৪। ডিম
প্রচলিত ধারণা
অনুযায়ী বিশ্বাস করা
হয় যে, যদি ফর্সা
বাচ্চা চান তাহলে
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়
তিনমাসে ডিমের
সাদা অংশ গ্রহণ করা
উচিৎ।তবে সত্য এই যে
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত
গোটা ডিম খাওয়া
মায়ের জন্য খুব জরুরী।
ডিমের অধিকাংশ
পুষ্টি গুণ এর ক্সুমের
মাঝেই থাকে। তাই
কুসুম খাওয়া বাদ দেয়া
চলবে না।
৫। চেরি ও বেরি
জাতীয় ফল
চেরি ও বেরি জাতীয়
ফলে উচ্চমাত্রার
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
থাকে যা ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
এবং ত্বকের ক্ষতি রোধ
করে। তাই স্ট্রবেরি,
ব্ল্যাক বেরি, ব্লু বেরি
ইত্যাদি ফল খাওয়া হয়
সুন্দর ত্বকের জন্য।
৬। টমেটো
টমেটোতে
লাইকোপেন থাকে
যা ক্ষতিকর আল্ট্রা
ভায়োলেট রে এর
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
সূর্যের আলোর ক্ষতিকর
প্রভাব থেকে ত্বককে
রক্ষা করে। বিশ্বাস
করা হয় যে, গর্ভাবস্থায়
টমেটো খেলে
বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হয়।
৭। কমলা
কমলা ভিটামিন সি
সমৃদ্ধ তাই শিশুর শরীর
গঠনের জন্য অপরিহার্য।
গর্ভাবস্থায় কমলা
খেলে শিশুর ত্বক
ভালো হবে।
শুধুমাত্র ত্বকের
সৌন্দর্যই কোন মানুষের
একান্ত আকাঙ্ক্ষিত
বিষয় হতে পারে না।
তাই গর্ভবতী
মায়েদের উচিত একটি
সুস্থ্, মেধাবী ও
স্বাভাবিক শিশুর
জন্মের জন্য চেষ্টা
করা। এজন্য পুষ্টিকর
খাবার গ্রহণের
পাশাপাশি নিজের
জীবনাচরণের
ইতিবাচক পরিবর্তন
আনা প্রয়োজন।
অ্যালকোহল গ্রহণের
অভ্যাস থাকলে বর্জন
করা উচিত। ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখুন, খুব
বেশি ওজন হলে প্রি
ম্যাচিউর বেবির জন্ম
হয় যা বাচ্চার আইকিউ
এর উপর প্রভাব ফেলে।
নিয়মিত ৩০ মিনিট
ব্যায়াম করুন। এতে
বাচ্চার ব্রেইন এর গঠন ও
অন্যান্য অঙ্গের গঠনে
সহায়তা করে।
বিজ্ঞানীদের মতে
গর্ভের শিশু শুনতে পায়
এবং সেই অনুযায়ী
সাড়া দেয়। গ
গর্ভের শিশুর সাথে
কথাবলুন,এবং
ধর্মীয় বই ও বিখ্যাত
মনীষীদের জীবনী
পড়ুন।কিছু গবেষণায়
পাওয়া গেছে যে,
গর্ভে থাকতে শিশু যে
কণ্ঠস্বর শুনেছে জন্মের
পর সেই কণ্ঠস্বর শুনলে
শিশু শান্ত হয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)